সোশ্যাল মিডিয়া যেন বিদ্বেষ প্রকাশের প্লাটফর্ম না হয় : মুশফিক

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়া যেন বিদ্বেষ প্রকাশের প্লাটফর্ম না হয় বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সচিব মর্যাদায় মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি বলেন, এটা আমাদের কাম্য হতে পারে না।

বৃহস্পতিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি, কিন্তু সেই শক্তির অযথা প্রদর্শন এখন যেন আমাদের দুর্বলতায় পরিণত হচ্ছে। ভাবুন তো, মতের অমিল হলেই আমরা একে অপরকে আঘাত করছি, ভাষার সীমা ভেঙে চরিত্র হনন পর্যন্ত করতে ছাড়ছি না।

রাষ্ট্রদূত মুশফিক সুনির্দিষ্ট কোনো পক্ষের কথা উল্লেখ না করে এই পোস্টে লিখেছেন, আপনারা অনেকে তো সমাজের সেই অংশ, যাদের কথা মানুষ গুরুত্ব দিয়ে শোনে। আপনাদের কাছে মানুষ চায় দিকনির্দেশনা, সংযম, আচরণের মানদণ্ড। তাহলে কেনো এই মাত্রাহীন ব্যক্তিগত আক্রমণ কিংবা আক্রোশ? কখন থেকে বিবাদ মানে বিনোদন, আর যুক্তি মানে গালাগালি হয়ে গেল?

জাতিসংঘ ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংগুলোতে একসময় সরব থাকা এই সাংবাদিক আরও লিখেছেন, একসময় আমরা অনেকেই বলতাম— ‘হাসিনার কথা বলা, মানে ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে যাওয়া!’ আজ কি সেই খালি জায়গা কেউ কেউ অন্যভাবে পূরণ করতে চাইছেন? যে জায়গা আলোচনার, সেখানে শুরু হয়ে যাচ্ছে দ্বন্দ্বের যুদ্ধ।

দেশের মানুষ এই সাংস্কৃতিক সহিংসতা নিতে পারছে না উল্লেখ করে মুশফিক লিখেছেন, মানুষের একটা অংশ হয়তো এটা নাটকের মতো কিংবা বিনোদনের আশায় দেখছে, কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না— বাংলাদেশের বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ, যারা পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতে চায়, তারা কখনোই এই সাংস্কৃতিক সহিংসতাকে গ্রহণ করবে না।

তিনি আরও লিখেছেন, যারা জুলাই ’২৪ পরবর্তী হঠাৎ অতিবিপ্লবী হয়ে উঠেছেন, তারাও একবার ভাবুন—যে ঢেউ তুলতে চাইছেন, সেই ঢেউয়ের অভিঘাত সবাই বহন করতে পারে না। বিপ্লব মানে কেবল আবেগ নয়; তার ভার নিতে হয় সাহস ও দায়িত্ব দিয়ে।

মতভেদের ভিন্নতা থাকলেও পরস্পরের প্রতি সম্মান রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, মতভেদ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সম্মানহানি করে নয়। প্রতিবাদের ঝড় উঠুক, কিন্তু প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করার তাড়নায় নয়। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন দেখে, বাংলাদেশের সচেতন সমাজ বিতর্কে জেতে যুক্তি দিয়ে, গালাগাল দিয়ে নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যদি আমাদের অস্ত্র হয়, তবে সম্মান হোক তার ঢাল। এটাই সত্যিকারের সাহস।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কিশোর গ্যাং চাঁন-মানিক গ্রুপের প্রধান চাঁন মিয়া গ্রেপ্তার

» মাত্র ২২ ঘণ্টায় ৩৭ লাখ টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন এনসিপি নেত্রী জারা

» গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই আমাদের প্রধানতম লক্ষ্য: নাহিদ ইসলাম

» বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিতে হবে: গোলাম পরওয়ার

» ঢাকা-১৩ আসনে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন মাওলানা মামুনুল হক

» আগামীকাল রাজধানীর যেসব এলাকায় ৫ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

» কেন ছেলেকে তারকা হতে দিতে চাননি শাহরুখ?

» ভূমিকম্পের আঁতুড়ঘরে নতুন বাঁধ নির্মাণ করছে চীন, ভীষণ চাপে ভারত!

» ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সরকার কাজ করছে : অর্থ উপদেষ্টা

» টাওয়ার কর্মীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে পারিবারিক সচেতনতামুলক অনুষ্ঠান আয়োজন হুয়াওয়ের

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সোশ্যাল মিডিয়া যেন বিদ্বেষ প্রকাশের প্লাটফর্ম না হয় : মুশফিক

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়া যেন বিদ্বেষ প্রকাশের প্লাটফর্ম না হয় বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সচিব মর্যাদায় মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি বলেন, এটা আমাদের কাম্য হতে পারে না।

বৃহস্পতিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি, কিন্তু সেই শক্তির অযথা প্রদর্শন এখন যেন আমাদের দুর্বলতায় পরিণত হচ্ছে। ভাবুন তো, মতের অমিল হলেই আমরা একে অপরকে আঘাত করছি, ভাষার সীমা ভেঙে চরিত্র হনন পর্যন্ত করতে ছাড়ছি না।

রাষ্ট্রদূত মুশফিক সুনির্দিষ্ট কোনো পক্ষের কথা উল্লেখ না করে এই পোস্টে লিখেছেন, আপনারা অনেকে তো সমাজের সেই অংশ, যাদের কথা মানুষ গুরুত্ব দিয়ে শোনে। আপনাদের কাছে মানুষ চায় দিকনির্দেশনা, সংযম, আচরণের মানদণ্ড। তাহলে কেনো এই মাত্রাহীন ব্যক্তিগত আক্রমণ কিংবা আক্রোশ? কখন থেকে বিবাদ মানে বিনোদন, আর যুক্তি মানে গালাগালি হয়ে গেল?

জাতিসংঘ ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংগুলোতে একসময় সরব থাকা এই সাংবাদিক আরও লিখেছেন, একসময় আমরা অনেকেই বলতাম— ‘হাসিনার কথা বলা, মানে ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে যাওয়া!’ আজ কি সেই খালি জায়গা কেউ কেউ অন্যভাবে পূরণ করতে চাইছেন? যে জায়গা আলোচনার, সেখানে শুরু হয়ে যাচ্ছে দ্বন্দ্বের যুদ্ধ।

দেশের মানুষ এই সাংস্কৃতিক সহিংসতা নিতে পারছে না উল্লেখ করে মুশফিক লিখেছেন, মানুষের একটা অংশ হয়তো এটা নাটকের মতো কিংবা বিনোদনের আশায় দেখছে, কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না— বাংলাদেশের বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ, যারা পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতে চায়, তারা কখনোই এই সাংস্কৃতিক সহিংসতাকে গ্রহণ করবে না।

তিনি আরও লিখেছেন, যারা জুলাই ’২৪ পরবর্তী হঠাৎ অতিবিপ্লবী হয়ে উঠেছেন, তারাও একবার ভাবুন—যে ঢেউ তুলতে চাইছেন, সেই ঢেউয়ের অভিঘাত সবাই বহন করতে পারে না। বিপ্লব মানে কেবল আবেগ নয়; তার ভার নিতে হয় সাহস ও দায়িত্ব দিয়ে।

মতভেদের ভিন্নতা থাকলেও পরস্পরের প্রতি সম্মান রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, মতভেদ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সম্মানহানি করে নয়। প্রতিবাদের ঝড় উঠুক, কিন্তু প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করার তাড়নায় নয়। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন দেখে, বাংলাদেশের সচেতন সমাজ বিতর্কে জেতে যুক্তি দিয়ে, গালাগাল দিয়ে নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যদি আমাদের অস্ত্র হয়, তবে সম্মান হোক তার ঢাল। এটাই সত্যিকারের সাহস।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com